আজকেও জানালার পর্দা সরানো হয়নি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে জীবন; ঠিক কবে থেকে তাও মনে নেই। সন্ধ্যা প্রায় হয়ে এলো, আমার বের হতে হবে এখনি। দীর্ঘদিন বেকার থাকার একটাই সমস্যা; মানুষকে এড়িয়ে চলা লাগে। বেকারজীবন আমাকে গ্রাস করছে প্রতিদিন। রাতে বের হই বাসা থেকে। আজকে রাতের পরিকল্পনা কারওয়ান বাজারের দিকে কিছুক্ষণ মানুষের জীবনযাপনের চিত্র দেখা তারপর হোটেল আল ছালাদিয়াতে পরোটা খাওয়া। হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ল ছোট একটা মেয়েকে ফুটপাথের এককোণে বাচ্চা কোলে, পাশেই জ্বলছে কুপির আলো। আত্মমগ্ন বাচ্চা মেয়েটি বই পড়ছে। কাছে গিয়েই জানলাম ক্লাস ফোরে পড়ে সে, মা বাড়িতে কাজে গেলে তাঁকে আর ভাইটিকে রেখে যায়। আমি আবার হাঁটতে থাকি রাতের ঢাকায়। ভালবাসাবঞ্চিত মানুষ আমি। বারবার ফিরে আসছে এই মেয়েটির সংগ্রামী মুখ। আমার আবার নতুন করে জীবনটাকে সাজাতে হবে যেখানে এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করতে হবে। আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে সেই সংগ্রামী মেয়ের প্রতি স্নেহের টানে। ভালোবাসাকে জমিয়ে রাখতে নেই বাতাসের মত উড়িয়ে দিতে হয়। আমার হাঁটা এখন থেকে আর উদ্দেশ্যহীন নয়, রাতের ঢাকায় আমার কষ্ট এখন আর আমার মাঝে বন্দী নয়। ফিরে এলাম আবার জানলাম মেয়েটার নাম রানী। বাবা বেঁচে নেই। ততক্ষণে রানীর মা চলে এসেছে । সামান্য খাবার কত আনন্দ নিয়ে খাচ্ছে ওরা। আগামিকাল থেকে আমার ভালবাসিহীন জীবন আর হারতে পারবে না। কখনও না। ফিরে যাচ্ছি আমার গন্তব্যে , নতুন অনেক আশা আর স্বপ্নকে সাথে নিয়ে। এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আমাকে কাজ করতে হবে। অন্ধকারে আলো জ্বালাবে রানীর মত অনেকে সেই আশার আলো আমার মত অন্ধকারের স্বপ্নহারা মানুষ দেখতে শুরু করেছে। এখন কেবল বাস্তবায়নের কাজ। অনেক কাজ বাকি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মারুফ মুস্তাফা আযাদ
সাবাস! হতাশাকে স্থান দিও না। হতাশা যদি একবার পেয়ে বসে তো সব শেষ। আর যদি শুধুমাত্র হতাশাকে পরাভূত করতে পার তো খাঁটি মানুষ হতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই।
আহমেদ সাবের
একটা মানবিক অনুভূতির অণু-গল্প। "সুবিধা-বঞ্চিত শিশুদের জন্য" ভাল কিছু করার ইচ্ছা 'ক জনের জন্মে। বাস্তবে কিছু করা তো পরের কথা। ইচ্ছার বীজই একদিন মহীরুহ হবে। শুভ কামনা।
sakil
সল্প কোথায় মানবিক উনার বেশ সুন্দর কিছু আসার কথা বলেগেলেন . আমি ও চাই আপনার সপ্ন সফল হোক . অবহেলিত এবং সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য সকলের এগিয়ে আসা উচিত .
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।